ইসলামী সমাজ-এর দাওয়াত-
আল্লাহ প্রদত্ত্ব কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলাম’এর দাওয়াতী বিষয় গুলোর ভিত্তিতে ইসলামী সমাজ বিশেষভাবে বর্তমান মুসলিম উম্মাহ্র প্রত্যেক ব্যক্তিকে এবং সাধারণভাবে দুনিয়ার সকল মানুষকে দাওয়াত দিচ্ছে-আহ্বান করছে-
১) সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের অন্যায় ও মিথ্যা দাবী অমান্য করে আল্লাহকেই একমাত্র রব–সার্বভৌমত্বের মালিক, সার্বভৌম আইনদাতা-বিধানদাতা ও নিরংকুশ কর্তা মেনে নিয়ে ঈমানের দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা করুন-রাব্বুনাল্লা-হু।
২) মানব রচিত ব্যবস্থার আনুগত্য অস্বীকার করে আল্লাহকেই একমাত্র ইলাহ (মা‘বুদ)-দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা পাওয়ার অধিকারী সত্ত্বা গ্রহণ করে ইসলাম-এর অঙ্গীকার করুন- আশ্হাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু।
৩) মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক বাহক নেতা বা সরকারের আনুগত্য অস্বীকার করে একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ ও অনুকরণ পাওয়ার অধিকারী একমাত্র নেতা গ্রহণ করে ইসলাম বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করুন- আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ন সংবাদ -
দেশে চলমান সংঘাতময় অবস্থার অবসানে ইসলামী সমাজের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা
ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’এর পরিবর্তে কোন না কোন মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষ “মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের” অধীনে বন্দি হয়ে, মানুষেরই মনগড়া আইনের আনুগত্য স্বীকার করে মানুষের দাসত্ব…
আগামীকাল ১২ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন হলে ইসলামী সমাজের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! সম্মানিত সূধী, আগামীকাল ১২ জানুয়ারী, ২০২৩ ঈসায়ী, (বৃহস্পতিবার), দুপুর ২:০০ ঘটিকায়, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন হলে ইসলামী সমাজের উদ্যোগে- “বিশ্বব্যাপী চলমান সংঘাতময় অবস্থার কারণ এবং এথেকে উত্তরণের লক্ষ্যেই ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলন” শীর্ষক “গুরুত্বপূর্ণে আলোচনা সভার এর…
আগামীকাল ১২ জানুয়ারী ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী সমাজের বিশেষ মানববন্ধন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! সম্মানিত সূধী, আগামীকাল ১২ জানুয়ারী, ২০২৩ ঈসায়ী, (বৃহস্পতিবার), সকাল ১১:০০ টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী সমাজের উদ্যোগে- “বিশ্বব্যাপী চলমান সংঘাতময় অবস্থার কারণ এবং এথেকে উত্তরণের উপায়” বিষয়ে “বিশেষ মানববন্ধন” এর আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত মানববন্ধনে দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ…
সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা’ই সংঘাতময় অবস্থা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। আমীর, ইসলামী সমাজ।
ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় “মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব”ই মানব জীবনের মূল সমস্যা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে ইসলামের পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় বিশ্ববাসী মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের…
ইসলামী সমাজ” সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আদর্শবাদী আপোষহীন প্রতিষ্ঠান।
ইসলামী সমাজ একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আদর্শবাদী আপোষহীন প্রতিষ্ঠান:
ইসলামী সমাজ একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস-ঈমান আনয়নের ঘোষণা, কেবলমাত্র তাঁরই দাসত্ব, তাঁরই আইনের আনুগত্য ও উপাসনা এবং তাঁরই মনোনীত সর্বশেষ নাবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ ও অনুকরণের অঙ্গীকারের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে। ইসলামী সমাজ আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বাত্মক আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সকল প্রকার উগ্রতা, জঙ্গীতৎপরতা, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ইসলামী সমাজ-এর দৃঢ় অবস্থান। ইসলামী সমাজ সকল প্রকার সামপ্রদায়িকতার উর্ধে উঠে ক্ষমা ও উত্তম ধৈর্য্যর নীতিতে অটল থেকে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্বের ভিত্তিতে মানুষের সার্বিক কল্যাণে ঈমানী দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সুতরাং ইসলামী সমাজ” সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আদর্শবাদী আপোষহীন প্রতিষ্ঠান।
মানুষের সার্বভৌমত্বের অধীনে নির্বাচন কিংবা বোমাবাজি ও সশস্ত্র সংগ্রাম এ দু‘টোর কোনটাই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়। মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মেনে মানুষের মনগড়া আইনের অধীনে থেকে জনগণ‘কে সকল ক্ষমতার উৎস মেনে” ভোট ও নির্বাচন ইসলাম প্রতিষ্ঠার আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়। এ পদ্ধতি গ্রহণ করলে ঈমান-এর মূল বিষয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সার্বভৌমত্বে শির্ক এবং তাঁর আইন-বিধানে কুফুরী করা হয়। এ শির্ক ও কুফুরীর পথে আল্লাহর রহমত ও বিশেষ সাহায্য আসবে না, আসতে পারেনা; ফলে ইসলামও প্রতিষ্ঠিত হবে না।
অপরদিকে মানব রচিত ব্যবস্থার ভিত্তিতে গঠিত ও পরিচালিত সমাজ ও রাষ্ট্রে বসবাস করা কালীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বোমাবাজি এবং সশস্ত্র সংগ্রাম আল্লাহ প্রদত্ত্ব জীবন ব্যবস্থা ইসলাম-এর বিধানেরই সুস্পষ্ট লংঘণ, যা মূলতঃ চরম অপরাধ এবং আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নীতি ও আদর্শ বিরোধী। এ পথেও আল্লাহর রহমত ও বিশেষ সাহায্য আসবে না আসতে পারে না, ফলে ইসলামও প্রতিষ্ঠিত হবে না। সুতরাং এ দুটোর কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়। এ দুটোই মূলতঃ ভ্রান্ত পথ।
একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রদর্শিত পথেই আল্লাহর রহমত এবং তাঁর বিশেষ সাহায্য আসবে, ফলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনেরই ইচ্ছায় সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে। সুতরাং আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর প্রদর্শিত পথই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার একমাত্র পদ্ধতি। তাই ইসলামী সমাজ দলমত নির্বিশেষে সকলকে সকল প্রকার ভ্রান্ত পথ ত্যাগ করে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঈমানী দায়িত্ব পালনের আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে করা মন্তব্য –