
ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যেই সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মানব জাতির সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র জীবন পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন-বিধান সম্বলিত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলাম প্রদান করেছেন। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামের পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় দেশ ও জাতির মানুষ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিভিন্ন রকম আযাব-গজবের শিকার হয়ে বহুবিধ সমস্যায় জড়িয়ে দূর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে- একথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থ সম্পদের মোহ, ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও সংঘর্ষ মূলতঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনেরই আযাব-গজব, সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার সুযোগ রেখে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠিত হলেই আল্লাহর বিশেষ রহমতে মানুষের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় আজ ১৩/১০/২০১৮ ইং শনিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত “মানব বন্ধন ও শান্তির মিছিলে” ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আযাব-গজব থেকে রক্ষা পেয়ে তাঁরই বিশেষ রহমত লাভের পথ হচ্ছে- আল্লাহর নির্দেশিত ও তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে নিজের সময় ও অর্থ কুরবানি করে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকা। এলক্ষ্যেই “ইসলামী সমাজ” এর পক্ষ থেকে দল-মত নির্বিশেষে সকলের নিকট ঈমান ও ইসলামের দাওয়াত পৌছিয়ে দেয়ার জন্য ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ১২টি অঞ্চলে ১২জন দায়িত্বশীলকে বিশেষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে- একথার উল্লেখ করে তিনি স্ব স্ব অঞ্চলসহ দায়িত্বশীলদের নাম ঘোষণা করেন এবং দেশ ও জাতির মানুষকে সংঘাত ও সংঘর্ষের পথ ত্যাগ করে “মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর” এ মহা সত্যের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার আহ্বাণ জানিয়ে মানব বন্ধনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। মানব বন্ধন শেষে আমীর সাহেবের নেতৃত্বে প্রেশক্লাবের সামনের রাস্তায় জাতির মানুষকে অশান্তির পথ ত্যাগ করে শান্তির পথে আসার দিক নির্দেশনা প্রদানে শান্তির মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরীতে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানের ক্ষেত্রে কে কোথায় দায়িত্বে থাকবেন- এমর্মে ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, (০১) মোঃ সেলিম মোল্লা এর দায়িত্বে- সুত্রাপুর, ওয়ারী, বংশাল ও গেন্ডারিয়া। (০২) মোঃ আবু বকর শিকদার এর দায়িত্বে- কোতয়ালি, লালবাগ, হাজারিবাগ ও কামরাঙ্গিরচর। (০৩) মুহাম্মাদ ইয়াছিন এর দায়িত্বে- ধানমন্ডি, মোহাঃপুর, আদাবর ও চকবাজার। (০৪) হাফিজুর রহমান এর দায়িত্বে- দারুসসালাম, শাহআলী, মিরপুর ও রুপনগর। (০৫) বেলাল হোসেন এর দায়িত্বে- পল্লবী, ভাষানটেক, কাফরুল ও তুরাগ। (০৬) সাইফুল ইসলাম এর দায়িত্বে- শেরেবাংলা নগর, নিউমার্কেট, শাহবাগ ও কলাবাগান। (০৭) গুলজার আহম্মেদ এর দায়িত্বে- তেজগাঁ শিল্পাঞ্চল, রমনা, মতিঝিল ও তেজগাঁ। (০৮) মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী এর দায়িত্বে- উত্তর খান, দক্ষিণখান, উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম ও বিমানবন্দর। (০৯) সোলায়মান কবীর এর দায়িত্বে- খিলক্ষেত, কেন্টনমেন্ট, বনানী, গুলশান ও ভাটারা। (১০) আজমূল হক এর দায়িত্বে- বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা ও খিলগাঁ। (১১) মোহাম্মদ আমীর হোসেন এর দায়িত্বে- কদমতলী, শ্যামপুর, ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী। (১২) মোঃ আসাদুজ্জামান এর দায়িত্বে- সবুজবাগ, মুগদা, শাহজানপুর ও পল্টন।
ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে দেশ ও জাতির কল্যাণে আরও বক্তব্য রাখেন সর্ব জনাব মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী ও সোলায়মান কবীর প্রমূখ।