ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহর’ই সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাজ গঠন আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গ্রেফ্তার হয়ে জেলে যাওয়া ও হাজত বাস করা মূলতঃ ঈমানেরই পরীক্ষা-
আমীর, ইসলামী সমাজ।
ইসলামী সমাজের আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নির্দেশিত ও তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসাবেই স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিগণের আহ্বানেই কুমিল্লা জেলাধীন- চান্দিনা থানা শহরের ধানসিঁড়ি জামে মসজিদে ০৫/০২/২০১৮ ইং রোজ সোমবার জোহর নামাজের জামাত শেষ হওয়ার পর মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে দ্বীনি দাওয়াতি সংগঠন “ইসলামী সমাজ” এর সদস্য ও নেতা সৈয়দ মুহাম্মাদ কবীর কুরআন-সুন্নাহর সহীহ দলিলের ভিত্তিতে “ঈমান ও ইসলাম” বিষয়ে আলোচনা করছিলেন, তার সাথে ছিলো তারই ছোট ভগ্নীপতি মোঃ ইসমাইল দারিয়া। সৈয়দ মুহাম্মাদ কবীরের ভাড়া নেওয়া বাসা মসজিদের সাথেই লাগা। আলোচনা শেষ হওয়ার পর চান্দিনা থানা পুলিশ তাদেরকে মসজিদ থেকেই তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় এবং বাসা থেকে থানায় নিয়ে যায়। ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ০৫/০২/২০১৮ ইং আনুমানিক সন্ধ্যা ৭:০০ টার পর “প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং পুলিশের অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত সভাসমূহ ও ওয়াজ মাহফিলের অনুমতির কপি” দিয়ে ইসলামী সমাজের সদস্য ও নেতা মুহাম্মাদ ইয়াছিন এবং সৈয়দ আহম্মাদ কবীরকে চান্দিনা থানা ওসি মহোদয়ের নিকট পাঠানো হয়। এমতাবস্থায় তাদের ৪জনকে “১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩)/২৫-ঘ” ধারায় মামলা দেয়া এবং জেল হাজতে পাঠানো কোন মতেই গ্রহনযোগ্য হয় না। মামলাটি তাদেরকে হয়রানী মূলক। হয়রানী মূলক মামলায় তারা এখন কুমিল্লা জেলা কারাগারেই হাজত বাস করছে। তাদের সার্বিক কল্যাণে সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নিকট তিনি দোয়া করেন এবং দেশবাসীকে তাদের জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানান।
ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের সদস্য ও নেতা জনাব আব্দুর রব্ব মোল্লার সভাপতিত্বে আজ ১৬/০২/২০১৮ ইং জুমাবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনা সভায় ইসলামী সমাজের আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকা নেতা কর্মীরা সকলেই স্বভাব-চরিত্রে ভালো লোক, দেশ-জাতি এবং মানবতা ও উন্নয়ণ বিরোধী কোন কাজের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। জাতি, ধর্ম ও দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে নিজেদের সময় ও অর্থ কুরবানী করে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তারা শান্তিপূর্ণভাবে লোকদেরকে ঈমান ও ইসলামের পথে আসার আহ্বান করে এবং “দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও উগ্রতাসহ সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধেই তাদের দৃঢ় অবস্থান। তিনি বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাজ গঠন আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়া এবং হাজত বাস করা মূলত ঈমানেরই পরীক্ষা। সংগঠনের নেতা ও কর্মীদেরকে ঈমানের পরীক্ষা দিয়েইে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে হবে- একথার উল্লেখ করে তিনি নেতা কর্মীদের ধৈর্য্য ধারণ করার এবং দল-মত নির্বিশেষে দেশবাসী সকলকে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।