
আমরা মানুষ, আল্লাহর সৃষ্টি। আর আল্লাহ তাঁর নিজের সম্পর্কে বলেন, “নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ বিশ্বজগতের রব্ব-সার্বভৌমত্বের একমাত্র মালিক (সুরা কাসাস: আয়াত ৩০)। আরও বলেন, “আকাশসমূহ ও পৃথিবীর রাজত্ব তাঁরই। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান। তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান (সুরা হাদীদ: আয়াত ২)। আরও বলেন, “আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে”। (সুরা নূর: আয়াত ৪২)। পৃথিবীতে মানুষের অবস্থান সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, “তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি করেছেন, যে অবাধ্যতা করবে, তার অবাধ্যতার শাস্তি তার উপরই বর্তাবে। অবাধ্যদের অবাধ্যতা কেবল তাদের রব্বের ক্রোধই বৃদ্ধি করে এবং অবাধ্যদের অবাধ্যতা কেবল তাদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে। (সুরা ফাতির: আযাত ৩৯)। আল্লাহ আমাদেরকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন এবং একমাত্র তাঁর দাসত্ব, তাঁর আইন-বিধানের আনুগত্য ও তাঁরই উপাসনা করার মাধ্যমে তাঁর ইবাদাত করার নির্দেশ দিয়ে বলেন- “হে মানব জাতি! তোমরা তোমাদের রব্বের ইবাদাত (দাসত্ব, আইন-বিধানের আনুগত্য ও উপাসনা) কর, যিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আশা করা যায় তোমরা (ক্ষতি থেকে) বেঁচে থাকতে পারবে। যিনি তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ বানিয়ে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করে তোমাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন। অতএব, তোমরা অন্য কাকেও আল্লাহর সমকক্ষ গণ্য করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান।” (সুরা বাকারা: আয়াত ২১-২২)। আল্লাহর এই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানব জাতিকে সঠিক পথ নির্দেশনা দেবার জন্য রমযান মাসে আল কুরআন নাযিল করে বলেন- “রমযান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত (সঠিক পথ নির্দেশনা) এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। (সুরা বাকারা: আয়াত ১৮৫)। আরও বলেছেন, “এটি এমন একটি গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ণ করেছি, খুবই মঙ্গলময়, অতএব, এর অনুসরণ কর এবং ভয় কর, যাতে তোমরা করুণাপ্রাপ্ত হও (সুরা আনআম: আয়াত ১৫৫)। তিনি আরও বলেছেন, “তোমরা অনুসরন কর, যা তোমাদের রব্বের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহর বিধানকে বাদ দিয়ে অন্য কোন সাথীর অনুসরণ করো না (সুরা অারাফ: আয়াত ৩)। আর মানব জাতির সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র জীবন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় আইন-বিধান সম্বলিত জীবন ব্যবস্থা হিসাবে ইসলাম কে নির্ধারণ করে দিয়ে ঘোষণা করে দিলেন- “নিশ্চয়ই আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম (সুরা আলে ইমরান: আয়াত ১৯)। আরও জানিয়ে দিলেন- “যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ব্যবস্থা তালাশ করে, তা কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত (সুরা আলে ইমরান: আয়াত ৮৫)। সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহকেই সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও কর্তৃত্বের মালিক স্বীকার করে আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলামের আইন-বিধানের অনুগত্য করলেই আল্লাহর ইবাদাত করা হবে। কিন্তু সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানুষের স্বীকার করে মানব রচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষের মনগড়া আইন-বিধানের আনুগত্য স্বীকার করলে মানুষকে আল্লাহর সমকক্ষ গণ্য করা হবে, মানুষের ইবাদাত করা হবে; যা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর চরম অবাধ্যতা এবং তাঁর সাথে শির্ক, যার পরিণতিতে সকল আমল বিনষ্ট হবে এবং জান্নাত হারাম হয়ে জাহান্নামের আগুনেই হবে স্থায়ী বাসস্থান। কিন্তু অতীব দূঃখজনক হলেও সত্যি যে, আল কুরআনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের অভাবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশসহ বর্তমান বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ এবং গোটা মানব জাতি ইসলামকে শুধুমাত্র ধর্ম মনে করে নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত, ঈদ উদ্যাপন, কুরবানী ও কিছু আনুষ্ঠানিকতার মাঝে ইসলামকে সীমাবদ্ধ করে রেখেছে। আর সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও কর্তৃত্বের মালিক অমান্য করে আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা ইসলাম কে পরিত্যাগ করে আল্লাহর আইন-বিধান লংঘণ করে আল্লাহর চরম অবাধ্য জীবন যাপনের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে কুফরী করছে। অন্যদিকে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মানুষকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও কর্তৃত্বের মালিক স্বীকার করে মানব রচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষের মনগড়া আইন-বিধানের আনুগত্য স্বীকার করে মানুষের দাসত্ব, মানুষের ইবাদাত করছে, মানুষকে আল্লাহর সমকক্ষ গণ্য করে আল্লাহর সাথে শির্ক করছে। আল্লাহর সাথে কুফর ও শির্ক করার পরিণাম যে ভয়াবহ, তা আমরা সকলেই জানি। অথচ, আল কুরআন ও সুন্নাহ্র সঠিক জ্ঞান অর্জন ও চর্চা না থাকার কারণে বর্তমান বিশ্বের মানব জাতি এবং মুসলিম উম্মাহও যে, আল্লাহর সাথে কুফর ও শির্কে লিপ্ত আছে তা তারা বুঝতেও পারেনি। মুসলিম উম্মাহর সদস্যরা সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে কুফর ও শির্কে লিপ্ত থেকেই ইসলামের নামে কিছু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিক আমল করে জান্নাত লাভের আশা করছে। অথচ আল্লাহ ফরমানÑ “যারা তাদের রব্বের সাথে কুফরী করেছে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান (সুরা মুলক: আয়াত ৬)। অন্যত্র বলেন, “নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন (সুরা নিসা: আয়াত ৪৮, ১১৬)। আল্লাহর সাথে শির্কের পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ বলেন- “…. তুমি যদি শির্ক কর, তবে তোমার সকল আমল নিষ্ফল হবে এবং তুমি হবে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন (সুরা যুমার: আয়াত ৬৫)। চূড়ান্ত পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ ঘোষণা করেন- “নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিবেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নামের আগুনে। এই জালেমরা কোন সাহায্য পাবে না (সুরা মায়েদা: আয়াত ৭২)। প্রিয় ভাই ও বোনরা, নিশ্চয়ই! আপনারা কেহই চান না যে, আপনাদের সকল আমল নিষ্ফল ও বিনষ্ট এবং আখিরাতের জীবনে জান্নাত হারাম হয়ে জাহান্নামের আগুনেই স্থায়ী বাসস্থান হোক? কিন্তু পরিণতি তেমনটিই হচ্ছে। যদি আমরা আল কুরআন ও সুন্নাহ থেকে সঠিক জ্ঞান ও পথনির্দেশনা গ্রহণ করে নিজেদের সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র জীবন সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নির্দেশিত এবং তাঁরই সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত পদ্ধতিনুযায়ী পরিচালনার ব্যবস্থা না করি, তাহলে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। অথচ, আখিরাতে বিশ্বাসী সকলকেই জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাবার চেষ্টা করা অত্যাবশ্যক। কারণ, আল্লাহ ঘোষণা করেছেন- “তোমরা সেই দিনকে ভয় কর, যেদিন কেহ কাহারো কোন কাজে আসিবে না। কাহারও সুপারিশ গ্রহণ করা হইবে না, কাহারও নিকট হইতে বিনিময় গ্রহণ করা হইবে না এবং তাহারা (অপরাধীরা) কোন সাহায্য পাইবে না (সুরা বাকারা: আয়াত ৪৮)। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে তাঁর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকায় এবং আল্লাহর দাসত্ব ও তাঁর আইন-বিধানের আনুগত্য না করার কারণে একমাত্র শান্তিদাতা আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি ও কল্যাণ লাভের পরিবর্তে বিশ্ববাসী বর্তমানে অশান্তির দাবানলে জ্বলছে। মৌলিক অধিকারসহ বিভিন্ন অধিকার এবং সুশাসন ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে; জাতির মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত এবং সংঘাত ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, খুন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও বিভিন্ন রকম পাপচারে সয়লাব হয়ে গেছে গোটা মানব সমাজ। জান, মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে সমাজের অধিকাংশ মানুষ। সাথে সাথে আখিরাতের জীবনও ধ্বংসের সম্মুখীন। এ নাজুক অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের সার্বভৗমত্ব, আইন-বিধান, কর্তৃত্ব অস্বীকার ও অমান্য এবং মানব রচিত ব্যবস্থা পরিত্যাগ করে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অবতীর্ণ আলকুরআনের পথনির্দেশনা অনুসরণ করে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহকেই একমাত্র রব্ব- সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও কর্তৃত্বের মালিক স্বীকার করে আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব এবং তাঁর আনুগত্য করার জন্য তাঁর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা ইসলাম এর আইন-বিধান দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যবস্থা করা। আর সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে মানুষের নয়, আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে তাঁরই আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা, যিনি নিজের অর্থ ও সময়ের চূড়ান্ত কুরবানী করে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার ও প্রতিষ্ঠিত রাখার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন, তেমন নেতার নেতৃত্বের আনুগত্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার দাওয়াতী আন্দোলনে নিজ অর্থ ও সময় ব্যয়ের মাধ্যমে শামিল থাকা, সার্বিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকাকালীন আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে নিজ অর্থ ও সময় ব্যয় করে “ঈমান ও ইসলামের মৌলিক বিষয়ের দাওয়াত” লোকদেরকে দিতে থাকা এবং দাওয়াত কবুলকারীদের নিয়ে আল্লাহরই সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে তাঁরই আইন-বিধানের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের নেতৃত্বে সমাজ গঠন আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করাই আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত লাভের উপায় এবং এভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলেই সকল মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহ আদায় ও সংরক্ষণ হবে, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠিত হবে, শোষণমুক্ত অর্থনীতি এবং সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে ফলে, নিশ্চিতভাবেই সকল মানুষের দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ ও শান্তি হবে। কিন্তু মানব রচিত ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন করা কিংবা উগ্রবাদী তৎপরতা বা সশস্ত্র সংগ্রাম ও বোমাবাজির মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও ক্ষমতা দখল করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়। এসব কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কাজ, এগুলিও কুফর ও শির্ক। “ইসলামী সমাজ সকল মানুষের কল্যাণে আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে- একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে তাঁরই আইন-বিধানের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা ইসলামী সমাজের আমীর সৈয়দ হুমায়ূন কবীর সাহেবের নেতৃত্বে দাওয়াতী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। জাতির সকল মানুষকে নিজ কল্যাণের জন্যই সময় ও অর্থ কুরবানীর মাধ্যমে ঈমানের ভিত্তিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি।