
‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ ইং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঈমান ও ইসলামের নীতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠায় জঙ্গীবাদসহ সকল প্রকার সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতীয় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর, পাহাড়তলী থানাধীন মৌসুমী আবাসিক এলাকায় ইসলামী সমাজের সদস্য, জামাল উদ্দীনের ভাড়া বাসায় অনুষ্ঠিত আলোচনা বৈঠক থেকে ইসলামী সমাজ এর ২৪ জন নেতা কর্মীকে চট্টগ্রাম পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতার করে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়- এ ঘটনাটি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। দেশের আইন অনুযায়ী হাইকোর্ট থেকে জামিন প্রাপ্ত হয়ে গত ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে জেল-গেটে আসার সাথে সাথে ১৯ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পাহাড়তলী থানায় নিয়ে পুণরায় সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে মামলায় জড়িয়ে তাদেরকে জেল-হাজতে পাঠানোকে দুঃখজনক ও ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাস) প্রর্দশিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজে এসবই মূলতঃ ঈমানের পরীক্ষা বিধায়; আমরা কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করছি না, বরং সরকার ও প্রশাসনকে এধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও জুলুম নির্যাতন করা থেকে বিরত হয়ে ঈমান ও ইসলামের নীতি গ্রহণ করে কল্যাণ ও মুক্তির পথে দেশ ও জাতি গঠন ও পরিচালনা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি এবং ইসলামী সমাজের গ্রেফতারকৃত নির্দোষ নেতা-কর্মীদের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মামলায় জড়ানো অবস্থা থেকে নিঃশর্ত মুক্তি প্রদানের জন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।