বাংলাদেশ সহ গোটা পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ এখন আতঙ্কের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। ব্যক্তিগত সন্ত্রাস, গোষ্ঠিগত সন্ত্রাস, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, এক কথায় প্রতিটি সেক্টরকেই সন্ত্রাসবাদ গ্রাস করে নিচ্ছে।
বর্তমানে ইসলামের নামে যারা উগ্র সন্ত্রাসী কাজ করছে, তারা দ্বীন-ইসলামের কোনো উপকার তো করছেনই না, বরং প্রচণ্ড ক্ষতি করছেন। তাদের এহেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে দ্বীন-ইসলামের সহীহ দাওয়াত ও তাবলীগই আজ হুমকীর সম্মুখীন। প্রকৃতপক্ষে এরা মুসলিম জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনছেন।
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ফরমান-
"শুনে রাখো, সেসব জালিমদের ওপর আল্লাহর লানত (অভিশাপ), যারা আল্লাহর পথ (সরল সঠিক জীবন ব্যবস্থা) হতে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে এবং এ পথকে জটিল ও বক্র করে তুলতে চেষ্টা করে, আর এসব লোকই হয় আখিরাতকে অস্বীকারকারী।” (সূরা হুদ : ১৮-১৯)
ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। ফিতনা-সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও বিশৃঙ্খলা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্তায়ালা বলেন, "ফিতনা বা সন্ত্রাস হত্যার চেয়েও ভয়াবহ" (সূরা আল বাকারা, ১৯১নং আয়াতের অংশ বিশেষ)।
নির্বিচারে মানুষ হত্যা কোন মুসলিম তো বটেই কোন সুস্থ্য মানুষের কর্ম হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা বলেন-
"যে ব্যক্তি কাউকে হত্যার অপরাধ অথবা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টির কারণ ব্যতীত হত্যা করলো সে যেন গোটা মানবজাতিকে হত্যা করলো। আর যে ব্যক্তি কাউকে রক্ষা করলো সে যেন গোটা মানবজাতিকে রক্ষা করলো" (সূরা আল মায়িদাহ, ৩২নং আয়াতের অংশ বিশেষ)।
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্বের ভাষণে মুসলিম উম্মাহ্কে সতর্ক করে বলেছিলেন- "শুনে রাখো! মুসলিমরা পরস্পর ভাই ভাই। সাবধান, আমার পরে তোমরা একজন আরেকজনকে হত্যা করার মতো কুফরি কাজে লিপ্ত হয়ো না।"
সুতরাং কুরআন ও সুন্নাহ্র এই নির্দেশনা অনুসরণ করে চললে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কখনোই মুসলিম সমাজে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারতো না।
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস অনুযায়ী এই জামানার সন্ত্রাসীরা হবে অপরিপক্ক ও নির্বোধ। ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের সম্পর্কে আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ (রাযিআল্লাহু আনহু) বর্ণিত হাদীসে নাবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন-
"শেষ জামানায় এমন একটি গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটবে যারা হবে বয়সে নবীন, বুদ্ধিতে অপরিপক্ক ও নির্বোধ। তারা পবিত্র কুরআন পাঠ করবে কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালীও অতিক্রম করবে না (অর্থাৎ অন্তরকে স্পর্শ করবে না)। তারা সৃষ্টির সেরা মানুষের কথাই বলবে কিন্তু দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন ধনুক থেকে তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়।" (তিরমিযী হা: ২১৮৮, কিতাবুল বাব অনুচ্ছেদ: ২৪)
নাবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এই হাদীসের আলোকেই জঙ্গিবাদীদের প্রকৃত চিত্র বোঝা যায়। তাদের সাথে কোনো দ্বীনদার হক্কানী আলেম-ওলামা নেই, নেই কোনো ইসলাম বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি। গভীর মেধা ও ঠান্ডা মস্তিষ্কের অধিকারী মানুষের নিকট এটা স্পষ্ট যে, চরম শ্রেণী বৈষম্য, বিত্তশালী ঘরের সন্তানদের এডভেঞ্চার প্রিয়তা এসবকে পুঁজি করে পশ্চিমা বিশ্ব কোমল মতি ধর্মভীরু তরুন-যুবাদের ব্রেন ওয়াশ করে, ধর্মের নামে জিহাদের কথা বলে Motivate (অনুপ্রাণিত) করে প্রতিহিংসাপরায়ন নীতি গ্রহণে উৎসাহিত করে জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কুরআন ও সুন্নাহ্র সঠিক ও কল্যাণকর শিক্ষা যাদের অন্তরকে স্পর্শ করেনি, তারাই বিশ্বব্যাপী ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রদত্ত শান্তিপূর্ণ দাওয়াত ও তাবলীগের নীতি পরিবর্তন করে কুরআন ও সুন্নাহ্ পরিপন্থি মনগড়া সন্ত্রাস ও জঙ্গী তৎপরতাকে তাদের দ্বীন প্রতিষ্ঠার অবলম্বন বানিয়ে নিয়েছে। এরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইসলাম সম্পর্কে সরাসরি কুরআন ও সুন্নাহ্ হতে এবং ইসলামী জ্ঞানের স্বীকৃত সূত্রগুলি থেকে নিরপেক্ষভাবে তথ্য সংগ্রহ না করে তাদের গুরুদের প্রচারণামূলক বইপুস্তকই পাঠ করেছেন এবং যথারীতি বিভ্রান্ত হয়েছেন।
এ জন্য রাষ্ট্রের সরকারের প্রশাসনের ওপর ফরয দায়িত্ব হয়ে গেছে, সন্ত্রাসের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের উৎস সহ খুঁজে বের করে তাদের প্রতিহত করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করা এবং দ্বীন-ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য ও কল্যাণের দিকে আহ্বানকারী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীদেরকে সার্বিক সহযোগীতা করে আল্লাহ্’র সন্তুষ্টি অর্জন করা।
কারণ মহান আল্লাহ্ ফরমান –
"তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ না ফিতনা (বিপর্যয়) চূড়ান্তভাবে অবসান হয় এবং দ্বীন শুধুমাত্র আল্লাহ্’র জন্যই নির্দিষ্ট হয়।" (সূরা আল বাকারা : ১৯৩)।
আর সরকার ও তাঁর POLICE, RAB, ARMY, BGB প্রশাসন যদি প্রকৃত সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের নির্মূলে যথাযথ দায়ীত্ব পালনে অবহেলা করে এবং নীরিহ মুসলিমদের হয়রানি করে, তবে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এর ভয়াবহ পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দিতে ঘোষণা করছেন-
"যদি তোমরা এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে না আসো, তবে পৃথিবীতে ফিতনা ও বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিবে।" (সূরা আনফাল : ৭৩)
ইসলামের নামে সন্ত্রাস করে জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসীরা দ্বীনকে সমুন্নত করছে না, বরং ক্ষতি করছে। তাদের জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের দ্বারা গোটা বিশ্বে এখন ইসলামের শান্তিপ্রিয় দিকটি চরম বিপর্যয়ে পড়েছে। সর্বোপরি যা সমাজে ধ্বংস ও বিপর্যয় ডেকে আনে তা কখনো একজন প্রকৃত মুসলিমের বা ইসলামের কাজ হতে পারে না। কেননা মহান আল্লাহ্ ফরমান–
‘আল্লাহ্ তায়ালা বিপর্যয় ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডকে আদৌ পছন্দ করেন না।’ (সূরা আল বাকারা : ২০৫)
একজন ভাল মুসলিম অবশ্যই ইসলামের জন্য কাজ করবে, মানুষের কাছে ইসলামের অনুপম সৌন্দর্য ও কল্যাণকর দিক তুলে ধরে তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করবে। তবে সে কর্মপদ্ধতি হতে হবে ক্ষমা ও চূড়ান্ত ধৈর্য্যের নীতিতে অটল থেকে আল্লাহ্ রব্বুল আলামীনের কিতাব আলকুরআন ও তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ্ অবলম্বনে।
দুনিয়ার জিবনে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে আখিরাতে ক্ষমা ও জান্নাত লাভের লক্ষ্যে নিজেদের অর্থ ও সময় ব্যয়ের মাধ্যমে সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহ্’র একক সার্বভৌমত্ব ও দ্বীন-ইসলাম প্রতিষ্ঠার দাওয়াত ও তাবলীগ করাই ঈমানদারগণের ঈমানের সর্বোচ্চ দাবী এবং মূল দায়িত্ব ও কর্তব্য। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহ্’র একক সার্বভৌমত্ব ও ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করতে হলে ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা (খিলাফত) লাভ একান্ত প্রয়োজন। তবে তা হতে হবে আল্লাহ্ রব্বুল আ’লামীন নির্দেশিত সূরা আন-নূরের ৫৫ নম্বর আয়াত অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে। মূলতঃ সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের সুযোগ রেখে আল্লাহ্’র রাসূল মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহ্’র একক সার্বভৌমত্ব এবং ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টার মাঝেই সফলতা ও কল্যাণ নিহীত রয়েছে।
কিন্তু ভুল নেতৃত্ব কিংবা কুরআন ও সুন্নাহ্’র যথাযথ দলিল হাতে না আসার কারণে অনেক দল বা গোষ্ঠী ক্বিতাল বা সশস্ত্র সংগ্রাম করে, বোমাবাজি বা সন্ত্রাস সৃস্টি করে, সেনা ক্যু করিয়ে কিংবা ‘গণতন্ত্র’ সহ মানুষের রচিত মনগড়া ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা তথা খিলাফত প্রতিষ্ঠার লাভের বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দলকানা কিংবা অতিরিক্ত আবেগী হওয়ার কারণে তারা হয়তো জানেনই না যে, এসবের কোনটিই ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের পদ্ধতি নয়।
পৃথিবীতে কোথাও পূর্ণাঙ্গভাবে আল্লাহ্’র সার্বভৌমত্ব ও দ্বীন-ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকা অবস্থায় তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম বা ক্বিতাল করার কোনরূপ নির্দেশনা আল্লাহ্’র কিতাব আল-কুরআন এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সহীহ্ হাদীসে নেই সুতরাং যারা ক্বিতাল বা সশস্ত্র সংগ্রাম কিংবা বোমাবাজির মাধ্যমে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন, তারা স্পষ্টতঃই বিভ্রান্তিতে আছেন।
এক্ষেত্রে মানব সভ্যতার সংরক্ষণের জন্য এই জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় হলো, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার বিস্তার ব্যপকভাবে করা। কারণ ইসলাম কোনো সহিংসতা বা সন্ত্রাস শিক্ষা দেয় না। মুসলিম নামধারী কিছু মানুষ তার মানবীয় লোভ, দুর্বলতা, অসহায়ত্ব, প্রতিশোধস্পৃহা ইত্যাদির কারণে সহিংসতা বা হিংস্রতায় লিপ্ত হয়। এরূপ সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তি নিজের কর্মের পক্ষে সাফাাই গাওয়ার জন্য, নিজের বিবেককে অপরাধবোধ থেকে মুক্ত করার জন্য, অন্যকে নিজের পক্ষে টানার জন্য এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করে।
সুতরাং একজন ভাল মুসলিম হিসেবে বলতে চাই, ইসলামের কাজ অবশ্যই করতে হবে। আল্লাহর ফরয হুকুম পালনে জালিমের জুলুম ও রক্তচক্ষুকে অবশ্যই উপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই সংঘাত-সংঘর্ষের নীতি গ্রহণ করে নয়, মানুষের জান-মালের ক্ষতি করে নয়; কাফির মুশরিকদের ফাঁদে পা দিয়ে নয়, দ্বীন-ইসলামের অপব্যাখ্যা করে নয়, নব্য খারিজিদের মতাদর্শে সন্ত্রাস, বোমাবাজি বা আত্মঘাতি বোমা হামলার পথ বেছে নিয়ে নয়। বরং সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের সুযোগ রেখে আল্লাহ্’র রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহ্’র একক সার্বভৌমত্ব এবং ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠিত হলেই দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতা ও নৈরাজ্যসহ সকল অপতৎপরতা নির্মূল হয়ে মানুষের জীবনে শান্তি ও কল্যাণ ফিরে আসবে, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সকল মানুষের সকল অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ হবে। উত্তম ধৈর্য্য ও ক্ষমার নীতিতে অটল থাকতে হবে। উপরন্তু বিরোধীতাকারীদের আচরণে রাগ না করে, পাল্টা গালি না দিয়ে, পাল্টা আঘাত না করে তাদের হিদায়াতের জন্য মহান রব্বের দরবারে বেশী বেশী দু’আ করতে হবে।
সর্বোপরি ইসলামের অনুপম সৌন্দর্য্যকে জানতে হক্বপন্থী আমীরের আনুগত্যে থাকুন, বেশি বেশি কুরআন ও সহীহ হাদীস পড়ুন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণের জীবনচরিত পড়ুন এবং ইসলামের পথে মানুষকে আহ্বানের জন্য তাঁদের কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করুন। ইসলাম কোন আন্ডারগ্রাউন্ড দ্বীন নয়; এটা আগে উপলব্ধি করুতে শিখুন অতঃপর ইসলামের দাওয়াত ও তাবলীগ নিয়ে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ুন। ইসলামের সঠিক দাওয়াত দিয়ে নিজে বাঁচুন এবং মানুষকে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে সহযোগীতা করুন।
আল্লাহ্ সকল মানুষকে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য অনুধাবনের তাওফিক দিন এবং শয়তানের যাবতীয় চক্রান্ত থেকে হিফাযত করুন।